ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী উচ্চফলনশীল গমের নতুন জাতের মাধ্যমে দেশে গমের চাষ ও উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে বলে উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশে দিন দিন গমের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের আবহাওয়া গম চাষের জন্য খুব উপযোগী না হওয়ায় চাহিদার পুরোটা দেশে উৎপাদন করা সম্ভব নয়। দেশে আগে গমের অনেকগুলো জাত জনপ্রিয় হয়েছিল কিন্তু সেগুলো সহজেই বøাস্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতো। নতুন উদ্ভাবিত জাত যেমন বারি গম-৩৩সহ আরও কয়েকটি জাত ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী। এ উচ্চফলনশীল জাতগুলোর সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই দিনাজপুরে জাতগুলোর উন্নত বীজ উৎপাদন করে সারা দেশে চাষে ব্যবহৃত হবে। এর ফলে দেশের বিরাট এলাকা গম চাষের আওতায় আসবে ও উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।
কৃষিমন্ত্রী গত ১৪ মার্চ সোমবার দিনাজপুরের নশিপুরে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটে গম ও ভুট্টার চলমান গবেষণা মাঠ পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন। এ সময় হুইপ ইকবালুর রহিম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. এছরাইল হোসেন, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদল্লাহ, ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, বারির মহাপরিচালক নাজিরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র-সিমিটের বাংলাদেশ প্রতিনিধি টিমোথি জে. ক্রুপনিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।